নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন সেলিম প্রধান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তিনি হাজিরা দেন।
এসময় তিনি বলেন, কোন ক্রিমিনাল যদি আপনাকে টাকা দেয় তাহলে নিয়ে নিবেন। আর সেই টাকা দিয়ে দেশের জন্য যেটা দরকার সেটা করবেন। দেশ যেন পিছিয়ে না যায় সে জন্য যা কিছু করা দরকার সেটা করবেন, এটা আপনার নাগরিক দ্বায়িত্ব। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা আমরা বলি, তাদের মাধ্যমে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু আরও যেটা বলা দরকার সেটা আমরা বলিনা।
সেটা হলো ছাত্র-জনতা পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সৈন্যরা। যারা রাস্তায় থেকে আমাদের সহযোগীতা করেছে এবং এখনো তারা সহযোগীতা করছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো কখনো খারাপ হতে পারেনা। বরং সেখানে কর্মরত যারা আছেন তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য খারাপ হতে পারে কিন্তু প্রতিষ্ঠান নয়।
যেমন ধরুন, বিএনপির তারেক রহমান সাহেবের কিছু লোক আছে যারা টাকা খরচ করে বিভিন্ন ভাবে লবিং করে সাইনবোর্ড লাগায়। তারা অনেকে বলে ১৫/১৬ বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। কিন্তু আমি মনে তারেক রহমান যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেটার সামনে অন্যগুলো কিছুইনা।
তিনি আরও বলেন, মাফিয়া মানে কি, ডাকাত। সারা পৃথিবীতে তাদের উপরে কেউ নেই। যদি তারেক রহমান জানতে পারেন যে তারা ক্রিমিনাল তাহলে তারা যতই ম্যানেজ করার চেষ্টা করুক না কেনো কোন লাভ হবেনা। আপনারা জানেন, গাজীর সাথে ১০ মাস যুদ্ধ করে আমি এ পর্যন্ত এসেছি, এখন সেই মানুষ গুলাই দিপু ভূইয়ার সাথে মিলিত হয়েছে।
তারা কিছু অর্থের লোভে একত্রিত হয়েছে। যারা অর্থের লোভে ক্রিমিনালদের সাথে মিলতে পারে তারা তো দেশ বিক্রি করে দিবে। টাকার প্রতি তাদের এত লোভ যে তারা নিজের পরিবারকেও বিক্রি করে দিতে পারে।
এ ধরনের নাগরিক যেন আমাদের দেশে না থাকতে পারে সেজন্য আমি সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে বলবো।
সেলিম প্রধান আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকার আমাকে গুম করে ফেলেনি। ক্যাসিনোর মামলা দিয়ে আমাকে জেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষদের বলবো আপনারা এসব বিশ্বাস করবেন না। আপনারা তদন্ত করে দেখুন সেলিম প্রধান কখনো কোন খারাপ কাজে লিপ্ত ছিলোনা।
আমার বদনামগুলো তারাই করে যারা আমার ব্যাপারে হিংসা করে, যাদেরকে আমি মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা করতে দেইনা। ভালো মানুষ কখনো অন্যের বদনাম করেনা। দিপু ভূইয়া হচ্ছে গাজীর ১০গুন বেশী, তার সাথে যারা সহযোগীতা করছে তারা দেশের শত্রু। যারা দেশের শাসন ব্যবস্থায় রয়েছেন তাদের অনুরোধ করবো৷ পুরো দেশকে একত্রে ঠিক করতে পারবেন না।
যেকোন একটি জেলা থেকে শুরু করুন। রুপগঞ্জ হচ্ছে ক্রাইমের আস্তানা। আগে শমসের করতো এখন অন্য শমসের করে। সে হচ্ছে দিপুর ডান হাত।
বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী জেল খেটেছে কিন্তু দিপু ভূইয়া কি একদিন জেল খেটেছে ? জনগণের কাছে আমার প্রশ্ন, কোন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করলাম।