মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার বাসুদিয়া গ্রামে পশু চিকিৎসক মো: আশরাফুল ইসলামের তৈরী ৫তলা ভবন ভ’য়া মালিক দাবী করে জুরপূর্বক দখলের চেষ্টাসহ ভাংচুর ও টাকা পয়সা,মালামাল,স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে একই এলাকার সালমান খান মোয়াজ্জেম গংরা।
অভিযোগ এর আলোকে জানা যায়,আশরাফুল ইসলাম পেশায় একজন পশু ডাক্তার,তিনি গাইবান্দা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মরুয়াদহ গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
তিনি খরিদ সূত্রে মালিক হইয়া লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের বাসুদিয়া মৌজায় ২১০০ শত স্কোয়ার ফুট জমি ক্রয় করে ৫তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ৩ তলা ভবন সম্পূর্ন করেন। ভবন নির্মাণ কাজের সময় ব্যাংক লোন নিয়ে এই নির্মাণ কাজ শুরু করায় ইতিমধ্য বাকি কাজ সম্পূন্ন করতে হলে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তিনি ২য় তলায় তৈরী তিনটি ফ্লাট বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দিলে।
লৌহজং উপজেলার বাসুদিয়া গ্রামের সালমান খান মোয়জ্জেম আগ্রহ প্রকাশ করে একটি ফ্লাট ১৬ লক্ষ টাকা দাম ধরে ৩ লক্ষ টাকা ও হাফিজ খান ৩ টি ফ্লাট ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ্ করে ৫০ হাজার টাকা বায়না করেন স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে। উল্লেখ থাকে যে বাকি টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করিলে মালিকপক্ষ সাফ কবলা দলিল লিখে দিবে।
সালমান খান মোয়াজ্জেম গংরা প্রকৃত ফ্লাটের মালিক কে পাওনা টাকা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না করে অবৈধভাবে তার নামে পুরো সম্পত্তির উপর ভুয়া দলিল বানিয়ে নিজেকে বাড়ির মালিক দাবী করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভবনের মালিক আশরাফুল ইসলামকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে এমনকি আশরাফুল ইসলামের তিনটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে তাদের হুমকির কারনে। এমন অভিযোগ বাড়ির মালিক আশরাফুল ইসলামের।
আশরাফুল ইসলাম জানান,আমার কাছ থেকে ফ্লাট ক্রয় করার জন্য সালমান খান মোয়াজ্জেম গংরা বায়না দলিল করেছে এবং দলিলে উল্লেখ ছিল যে বাকি টাকা পরিশোধ করিলে আমি তারদেরকে উক্ত ফ্লাট রেজিস্ট্রি করে দিব। কিন্তু তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আমার পুরো ভবনের নামে ভুয়া দলিল বানিয়ে নিজেকে মালিক দাবী করে। অথচ আমি নালিশী সম্পর্ত্তি ক্রয়সূত্রে দলিল মূলে ৭.৬০ শতাংশ জমি ক্রয় করিয়া মালিক ও দখলকার বিদ্যমান আছি। গত ২৬/৫/২১ ইং তারিখে আমার অনুউপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৭ টার সময় স্থানীয় মেম্বার সালমান খান মোয়াজ্জেম গং কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় বাসার দরজা ভেঙ্গে ঢুকে আলমারী ভেঙ্গে ৩৫ লক্ষ টাকা,৬ ভরি স্বর্ন অনুমান মুল্য ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, ব্যক্তিগত সেভিং একাউন্ট চেক বই,নিজস্ব ব্যবসা হাবিব ফুড এন্ড কঞ্জুমার প্রোডাক্ট ও হাবিব এন্টার প্রাইজ এর চলমান হিসাবের দুটি চেক বই,এন আইডি কার্ড,সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্রের একটি ফাইল,একটি এল ই ডি টিভি,একটি ডিসকভার মটরসাইকেল,৮০ লক্ষ টাকার সোয়াবিন তৈলসহ প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা করার জন্য লৌহজং থানায় যাওয়ার পথে আশরাফুল ইসলামের গতিরোধ করে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিলে পরে গাজীপুরের উত্তর টংগী থানায় সালমান খান মোয়াজ্জেমকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন আশরাফুল ইসলাম। যাহানং (২৮)২১ তারিখ ২৮-৬-২০২১ইং। মামলার বাদী ভুক্তভোগি আশরাফুল ইসলামের দাবী অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতারসহ মালামাল উদ্বারের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।