
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেটের মুক্তিযদ্ধ ভাস্কর্য চত্ত্বর এলাকায় ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় সাবেক এমপি বিপ্লবসহ ২০৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ৩ শ জন সহ ৫০০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে রবিবার (১৮ আগষ্ট) রাতে মন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই হামলার সময় নিহত মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর গ্রামের মিশুক চালক রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম।
এই অভিযোগে প্রধান আসামী করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে।
২ নম্বর আসামী তালিকায় রয়েছেন পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, তৃতীয় প্রধান আসামী করা হয়েছে মিরকাদিম
পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনকে,
অভিযোগটির ৪ নম্বর আসামী রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ ও ৫ নম্বরে আসামি করা হয়েছে পৌর কাউন্সিলর ও ছাত্র লীগ নেতা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাগরকে।।
এছাড়াও এই অভিযোগে আসামী করা হয়েছে সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভইয়া, সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির মাস্টার, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ,
সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধাসহ ২০৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও
২০০/৩০০ জনকে।
মন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে তিনি মামলার আসামীর তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত চার আগষ্ট সকাল ১০ টার দিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মাকে চত্বরে অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু ও গুলিবিদ্ধ সহ দেড় শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার মধ্যে আহতরা এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।