পর্ব – ১ মুন্সীগঞ্জে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে দুইজন নিহতের ঘটনায় মামলা নিয়ে জটিলতা-কিবরিয়া মিজির সম্পৃক্ততা আড়াল করার চেষ্টা।

রুবেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জঃ
মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর সীমানাধীন কালিরচর মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে দুইজন নিহতের ঘটনায় মামলা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ বলছে চাঁদপুর পুলিশের কথা, আর চাঁদপুর পুলিশ বলছে মুন্সীগঞ্জ পুলিশের কথা। এছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিবরিয়া মিজি ও তার বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা আড়াল করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমন অভিযোগ নিহত ও আহত স্বজনসহ স্থানীয়দের।
তারা এ প্রতিবেদককে বলছেন, কিবরিয়া মিজির সন্ত্রাশবাহিনী সদস্যরা গুলি করে জলজ্যান্ত দুটি মানুষ মেরে ফেলেছে। একজনকে গুলি করে গুরতর আহত করেছে। এ বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের বক্তব্যে আড়াল করার বিষয লক্ষ্য করা গেছে।
মিডিয়ার সামনে পুলিশ বলেছে, কে বা কারা এই ঘটনা তাক্ষণিক ঘটিয়েছে এটা স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় কথা বলেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের চারদিন হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। সীমানা জটিলতার সমস্যা নিয়ে ভুক্তভোগীরা এক থানা থেকে আরেক থানায় যেতে হচ্ছে। মতলব উত্তর থানা ও মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ি বলছে এ ঘটনা মুন্সীগঞ্জের। আবার মুন্সীগঞ্জ থানা ও চর আব্দুল্লাহ নৌপুলিশ বলছে এটা চাঁদপুরের ঘটনায়। ফলে বিচার না পাওয়ার দুশ্চিন্তা নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকজনের।
মামলার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাইফুল আলম বলেছেন, হত্যাকান্ড ঘটেছে মতলব উত্তরের মোহনপুর মেঘনা নদীতে। ভুক্তভোগীরা ঐখানে গিয়েছে। তবে আমাদের এখানে কেউ মামলা করতে আসেনি।
তিনি আরও বলেছেন, ঘটনা দিন আমরা মতলব উত্তর থানা পুলিশকে এ বিষয় অবহিত করেছি। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত শেষে আমরা মতলব উত্তর থানা পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
তবে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারও আমাদের কাছে আসেনি। তিনি বলেন, হত্যাকান্ড ঘটনায় মামলা হওয়ার কথা মুন্সীগঞ্জ সদর থানায়। তবে আমরা নৌপুলিশের সাথে কথা বলেছি। নিহতের লোকজন আসলে তারা মামলা করতে পারবে।
নিহত রিফাতের স্বজন সাইফুল বলেন, মামলার জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ বলছে মতলব উত্তর থানায় যেতে। পরে সেখানে গেলে তারা অন্যদিন আসতে বলেছে।
এ অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে পহেলা নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইলিয়াস শান্ত সরকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হলে সে মামলার অগ্রগতি রয়ে গেছে অন্ধকারে। তবে রিফাত ও রাসেল হত্যার বিষয়ে যেনো শান্ত হত্যার মতো অন্ধকারে হড়িয়ে না যায় একনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।#
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
এ জাতীয় আরো খবর
আমাদের ফেসবুক পেইজ