নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান বলেন, ‘সার্বিকভাবে ১১ জেলায়ই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তাই নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না। বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার ৬৫৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে ৭৪৮টি।
দেশের উত্তর-পূবাঞ্চল ও পূবাঞ্চলে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের এবং নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। সূত্র: ইউএনবি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, ১১ জেলায় ৭৩টি উপজেলার ৫৪৫ ইউনিয়ন-পৌরসভা বন্যাপ্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে কামরুল হাসান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ২২ হাজার ২৯৮টি গবাদিপশুও সেখানে রাখা হয়েছে।
১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বলেন, সার্বিকভাবে ১১ জেলায়ই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তাই নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য ৭৪৮টি মেডিক্যাল টিম চালু করা হয়েছে।
সচিব কামরুল বলেন, ফেনীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেখানে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকা থেকে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন তাদের প্রত্যেককে যেন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয় সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার পর অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে থাকে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছি। প্রত্যেককে নিরাপদ পানি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার একটি হিসাব খোলা আছে। সেখানে সবাই বন্যাদুর্গতদের জন্য সহায়তা করতে পারেন বলে জানান তিনি।