তানিয়া ইসলাম প্রিয়া, মুন্সীগঞ্জ: আত্মসম্মান বিক্রি করে নয়, নিজের টাকা পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পদ্মাসেতু নির্মাণের সব কৃতিত্ব জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টাকার অংক দিয়ে বিচার করা যাবে না পদ্মাসেতুকে, এটি বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আজ শুক্রবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু সমাপনী অনুষ্ঠানে মাওয়া প্রান্তে সুধি সমাবেশ তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর করা হলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে থমকে যায় পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ। ২০০৯ সালের পর আবারো উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে ২০১২ সালে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। শুরু হয় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণকাজ।
পদ্মাসেতু নির্মাণের কৃতিত্ব জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান পালটে দিয়েছে। সেতু নির্মাণের পর এদেশের মানুষ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা উচু করে চলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধে হয়েছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আইন লঙ্ঘন করেএমডি পদে থাকার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে লবিং করান তিনি।
এদিকে মূল কাজ শেষে স্বপ্নের এ সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ২৫ জুন। এ বছরের ৩০ জুন শেষ হয় পুরো পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ। সেতু উদ্বোধনের পর থেকে বর্তমানে দিনে ১৭ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে পদ্মাসেতু দিয়ে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে পদ্মাসেতুতে ।
সমাপনী উপলক্ষ্যে শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আয়জন করা হয় সুধী সমাবেশের। যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পদ্মার বুকে সেতু চালু হয়েছে আরও দু বছর আগেই। বাকি ছিল নদী শাসনসহ কারিগরি কিছু কাজ। বরাদ্দকৃত টাকা থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা কমেই শেষ হল সে কাজ। ৩৫ বছরে ওঠার কথা থাকলেও তা ১৮/১৯ বছরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করা যাবে। দেশের টাকা দেশে থাকছে।