মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: আমি বিভিন্ন জমি কিনে ভরাট করে তা প্লট করে বিক্রি করি এসবে আমার কোন পারমিশন লাগেনা। এভাবেই বলছিলেন আলম মাদবর নামের এক ভূমিদস্যু। তার ক্ষমতা এতটাই বেসি যে যেকোন জমি ভরাট বা কাটতে জেলা প্রশাসনের কোন অনুমতিরও প্রয়োজন হয়না বলেও দাবি তার৷
শনিবার মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার যশলং ইউনিয়নের পশ্চিম পুড়া এলাকায় বেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমি কেটে শ্রেনী পরিবর্তন কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ভূমিদস্যু প্রভাবশালী এই আলম মাদবর পুরা এলাকার খালেক মাদবরের ছেলে এবং ইউপি সমস্য নুরু মেম্বারের ভাই।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, পশ্চিম পুরা এলাকায় একটি কৃষি জমি বেকু মেশিন দিয়ে কেটে আবাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আলম মাদবর। সেখানে সাংবাদিকরা মাটি কাটার ছবি তুলতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তেরে আসেন ভূমিদস্যু আলম মাদবর।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে অসৎ আচরন করে। এসময় সংবাদিকরা মাটি কাটার বিষয় অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে আরো বেসি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার কারা এখানে কেন আসছেন আমার কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই আমি আমার নিজের জমি কাটি কিসের আবার ডিসি বা ইউএনও।
স্থানীয়রা বলেন, আলম মাদবরা প্রভাবশালী তার এক ভাই মেম্বার আবার তিনি করেন জমি কেনা বেচার ব্যবসা তাই সবার সাথেই সর্ম্পক আছে এই কারনে আলম মাদবর যাই করুক না কেন কেউ কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়না। তারা অভিযোগ করে বলেন ভূমিদস্যু আলম মাদবর যশলং ইউনিয়ন ছাড়াও আসে পাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষি জমি,পুকুর বা ডোবানালা তা কম দামে কিনে ভরাট করে প্লট হিসাবে বিক্রি করে। তাই তার টাকারও অভাব নাই।
তার এই ব্যবসার ফলে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি পুকুর ডোবা নালা। খোজ নিয়ে জানাগেছে, প্রভাবশালী এই ভূমিদস্যু আলম মাদবর যশলং ইউনিয়নের বায়হাল,বেশনাল,পুরা, বাঘিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি,পুকুর, ডোবা নালা কম দামে কিনে নিয়ে তা বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট হিসাবে উচ্চমূল্যো বিক্রি করেন। এতে দিনে দিনে কমছে কৃষিজমির পরিমান। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
অভিযুক্ত আলম মাদবরের বড় ভাই ইউপি সদস্য নুরু মেম্বার বলেন, এতে অনুমতি নেয়ার কিছু নেই। প্রয়োজন হলে অবশ্যই অনুমতি নিতাম।
টঙ্গিবাড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন বলেন,বিষয়টি শুনেছি তদন্ত করে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।