রুবেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জঃ
মায়ের ইচ্ছে বউ আনতে হবে হেলিকপ্টারে, একই আবদার ছাত্রলীগ নেতা শ্যালকের, বোনকে নিতে হবে উড়োযানে করে।
সেই আবদার আর সখ পূরনে মুন্সিগঞ্জে এবার কনের বাড়িতে বর এলো আকাশে উড়ে।
সরজমিনে দেখাযায়, বেলা ৩টার দিকে দক্ষিন কাজী কসবা এলাকার কাজী বাড়ির সামনে, কনে মরিয়ম আক্তার সুস্মিতার বাড়ির পাশেই দুপুরের দিকে আকাশে হঠাৎ হেলিকপ্টারের শব্দে জড়ো হতে থাকে হাজারও মানুষ।
ব্যতিক্রমী এমন বিয়ের আয়োজনে খুশি স্বজন-প্রতিবেশীরাও। বরকে বরণে হাজির গোটা গ্রামের হাজারো মানুষ। যেনো এক এলাহি কাণ্ড।
কথায় আছে সখের তোলা লাখ টাকা। মায়ের ইচ্ছে বউ আনতে হবে হেলিকপ্টারে, একই আবদার কনের বড় ভাই ছাত্রলীগ নেতা শ্যালক আবিরের, বোনকে নিতে হবে উড়োযানে করে।
সেই আবদার আর সখ পূরনে মুন্সিগঞ্জে এবার মাত্র ৭কিলোমিটার দূরুত্বের কনের বাড়িতে বর এসেছে আকাশে উড়ে।
এমনই এক বিয়ের সাক্ষী মুন্সিগঞ্জ সদরের দক্ষিন কাজী কসবা এলাকার মানুষ।
কেউ কখনও ভাবেননি গ্রামীণ পরিবেশে এমন আয়োজন দেখবেন। বিয়ের এমন আয়োজন আর হেলিকপ্টার দেখতে মুন্সীগঞ্জ উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের কাজী বাড়ি এলাকা ভীড় জমায় হাজারো মানুষ।
কিন্তু মা-বাবা’র ইচ্ছা ছেলে বড় হয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাবে। আর সেই ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে সম্পন্ন করলেন মোঃ সাজ্জাদ হেসেন । তাও আবার প্রায় ৭কিলোমিটার দূরত্বে।
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী ফুলনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার সুস্মিতার সাথে জেলার টংগিবাড়ি উপজেলার কাইচাইল গ্রামের হাজী মোঃ মোশারফ হালদারের ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন প্রবাসীর ব্যবসায়ী সাথে এই বিবাহ সম্পূর্ন হয়।
বর মোঃ সাজ্জাত হোসেন জানান, বাবা-মা তাকে হেলিকপ্টারে বিয়ের কথা বলে আসছিলো। সেই ইচ্ছা পূরণে তিনিও কথা দিয়েছিলেন। কথামতে কনে বাড়িতে হেলিকপ্টারে চড়ে হাজির হোন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেই খুব খুশি তিনি।
কনে মরিয়ম আক্তার সুস্মিতার বলেন, আমার বড় ভাই কাজী আবিরের ইচ্ছা আমার বর হেলিকাপ্টারে চড়ে আসবে আমায় নিতে সেই ইচ্ছা পূরনে বাবা করেছে এতো আয়োজন। তবে কনে বাড়ি থেকে বরের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার।
অল্প দূরত্ব হওয়ায় আকাশপথে পদ্মা সেতু এলাকায় একটু ঘুরেফিরে বাড়িতে যাবেন তিনি। এটি তার জীবনের অন্যরকম অনুভূতি। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
রামপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও কনের বাবা ফুলন কাজী বলেন, এলাকার সবাইকেই আমার মেয়ে বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলাম। সবাই এসেছে আনন্দ করেছে। আজ মেয়ে স্বামীর বাড়িতে গেলো। আমার ছেলে চেয়েছিলো ওর বোনকে যেনো হেলিকপ্টার নেওয়া হয়। বর তাই নিয়ে এসেছে। সবাই আনন্দিত।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগনেতা কাজী আবির ও কনের ভাই কাজী আবির জানান, আমার আদরের বোন, চেয়েছিলাম ওর বিয়েটি জাঁকজমক করার জন্য।
এখন যেহেতু ডিজিটাল যোগ এজন্যই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের পালকি রয়েছে , পালকি আর হেলিকপ্টারে চলে আমার বোন শশুর বাড়িতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের পর বরের বাড়ি থেকেও বোনকে আবার আমাদের বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে আনা হয়েছে । এতে দুইদিনে উড়েযানটির মোট খরচ হবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মত।