রুবেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জঃ
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে এমন শক্তি নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা তাকেই দলের মনোনয়ন দিবেন যিনি জনপ্রিয়। আপনাদের কাছে যিনি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য তাকে মনোনয়ন দিবেন শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর কবীর মাষ্টারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন,
গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা।
এতে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মিল্টন ও শোক প্রস্তাব পেশ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাসুদেব নাগ।
মির্জা আজম এমপি বলেন, পচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করাই হচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পরিচয়। খুনী জিয়া বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর ১৩’শ কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলো। জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে। জয়বাংলা শ্লোগানকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিলো ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী অফিস আদালতে নিজেদের পরিচয় দিতে পারত না। জিয়াউর রহমান রাজাকার আলবদরদের মোটা তাজা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিতেন।#